ধর্ষণের অভিযোগ কারিনীকে বিয়ে করলেই জামিন মিলবে। পাশাপাশি বেঁচে যাবে চাকরি, সুপ্রিম কোর্ট এমনই এক শর্ত বেঁধে দিল মহারাষ্ট্রের এক সরকারি চাকরিজীবীকে।
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমে কর্মরত ওই অভিযুক্ত। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের বেঞ্চ তাঁকে প্রশ্ন করে, ‘আপনি কি মেয়েটিকে বিয়ে করবেন? তাহলে আমরা আপনার জামিন নিয়ে ভাবতে পারি। না করলে জেলেই যেতে হবে আপনাকে। যদিও আমরা আপনাকে জোর করছি না।‘
অন্যদিকে, ধর্ষণে অভিযুক্ত হিসেবে জেল হলে তাঁর চাকরি যাবে। তাই গ্রেফতারি এড়াতে তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হোক। এই আবেদনে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত।
এই মামলায় ওপর দুই বিচারপতি ছিলেন এএস বোপান্না এবং ভি রামসুব্রহ্মনিয়াম। অভিযুক্ত তরফের আইনজীবী আদালতকে জানান, তাঁর মক্কেল বিবাহিত। যদিও সেই ঘটনার পর তাঁর মক্কেল চেয়েছিল মেয়েটিকে বিয়ে করতে। কিন্তু মেয়েটি রাজি ছিলেন না। তাই তাঁর মক্কেল বিয়ে করে নিয়েছে। তাই এখন সরকারি কর্মী হিসেবে তাঁর মক্কেল জেলে গেলে চাকরি খোয়াবেন। অভিযুক্তের আইনজীবীর তরফে এই সওয়াল-জবাবের পর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, চাকরি খোয়ানোর বিষয়টা কুকর্ম করার আগে ভাবা উচিত ছিল। আপনার মক্কেল জানতেন তিনি সরকারি কর্মী।
যদিও অভিযুক্ত তরফের আইনজীবী দাবি করেন, ‘তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে এখনও চার্জ গঠন হয়নি।‘ সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘ স্থানীয় কোর্টে সাধারণ জামিনের জন্য আবেদন করুন। আমরা গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ দিচ্ছি।‘ এই বলে অভিযুক্তের এক মাসের জন্য আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি বম্বে হাইকোর্ট তাঁর আগাম জামিন খারিজ করে। জানুয়ারি মাসে স্থানীয় আদলত অভিযুক্তকে এই রক্ষাকবচ দিয়েছিল। হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরধিতা করেই সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত।