দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো আরেকটি ঐতিহাসিক স্থান, আর সেটি হলো জেরেঙা। আজ জেরেঙায় ১ লক্ষ ৬ হাজার খিলঞ্জিয়ার মধ্যে জমির পাট্টা প্রদান করে ঐতিহাসিক জেরেঙা পাথারকে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, দেশের পাঁচটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের সঙ্গে জেরেঙাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
শনিবার আসাম সফরে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শিবসাগর জেলার জেরেঙায় খিলঞ্জিয়াদের মধ্যে জমির পাট্টা বিলি করেন। এদিন মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন প্ৰধান মুখ্য মন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সোনোয়াল, স্বাস্থ্য মন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা সহ অসম সরকারের মন্ত্ৰী বিধায়কগণ।
প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রী বিধায়কদের শ্রেনিমতো সম্বোধন করে বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্যের শুরুতেই উপস্থিত জনতাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান তিনি। জানান ভোগালি বিহুর শুভেচ্ছাও। এর পর অসমের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির চমৎকারিত্ব তোলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি তাঁর বক্তব্যে সুধাকন্ঠ ভূপেন হাজরিকার , ‘ ও মোর ধরিত্রী মাই’ গানটি গেয়ে অসমিয়া জনতার হাততালি অর্জন করেন।
তিনি বলেন, সরকারের জমির পাট্টা প্রদানে আজ ভূমি পুত্রদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হলো।
তবে, এদিন উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী অসমিয়া সেন্টিমেন্টের সঙ্গে জড়িত কোনো ইশ্যু নিয়ে মুখ খোলেননি বলে জাতীয়তাবাদী দল সংগ ঠনগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করে। যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি কিংবা লোকসভায় ৭ টি আসন জিতলো সেই ৬ নং রূপায়ণ, ‘ ক্যা’ নিয়ে অবস্থান বা এনআরসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ থাকলেন? প্রশ্ন অসমিয়া লবির।