যত দিন যাচ্ছে কৃষকেরা তাদের আন্দোলনকে আরো ক্ষুরধার করছে। সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হলেও কোনো রফাসূত্র বের হয়নি। এবার কৃষকেরা গো ধরেছে যে আর কোনো সংস্কার নয়, তিনটি আইনই বাতিল করতে হবে। শনিবার তারা আন্দোলনের নতুন রূপ রেখা প্রস্তুত করেছে । হরিয়ানা – দিল্লি ও গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লি প্রবেশের পথ অবরোধ করবে। তাদের এই নতুন আন্দোলনের গতির প্রতি সমর্থন জানাল জামাত ইসলামি হিন্দ।
জামাতের সর্বভারতীয় সহ- সভাপতি সালেম ইঞ্জিনিয়ার এক সম্মেলনে বলেন, জেআইএইচ কেন্দ্রের প্রণীত নতুন কৃষি আইনগুলির বিরুদ্ধে কৃষকদের চলমান প্রতিবাদকে সমর্থন করে। তিনটি আইন বিনা পরামর্শে ‘তাড়াহুড়ো’ করে এবং সংসদীয় আদর্শকে ‘বাইপাস’ করে বানানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ইঞ্জিনিয়ার দাবি করেন, ‘এটি বহুজাতিক ও কর্পোরেটদের স্বার্থে দেশের কৃষি আইন সংশোধন করার পরিকল্পনারএকটি অংশ।’
কয়েক হাজার কৃষক দিল্লির দিকে যাওয়া নতুন কয়েকটি হাইওয়ে দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এবার চতুর্দিক থেকে দিল্লি অবরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষকেরা।
সরকার এ পর্যন্ত কৃষকদের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং বলেছে যে এই আইনগুলি কৃষকদের আরও ভাল প্রযুক্তি সরবরাহ করে তাদের আয় বাড়াতে সাহায্য করবে।
জেআইএইচ ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্তঃধর্ম বিবাহ সম্পর্কিত উত্তর প্রদেশ সরকারের অধ্যাদেশেরও ‘নিন্দা’ করেন এবং বলেন, এর মাধ্যমে একটি সম্প্রদায়কে টার্গেট বানানো হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশ সরকার গত ২৪ নভেম্বর ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়ে একটি খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে, যা লঙ্ঘন করলে১০ বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে।
জামাতের সহ সভাপতি বলেন,’ এই অধ্যাদেশ সংবিধানের পরিপন্থী, কারণ এটি ধর্মের ভিত্তিতে সমাজকে বিভক্ত করার চেষ্টা করে।’