তরঙ্গবার্তা, ডিজিটাল ডেস্ক: মা রোগাক্রান্ত চাই ওষুধ, সঙ্গে দরকার ভাই বোনদের স্কুলের ফি এর টাকা। এই অবস্থায় ১০ম শ্রেণী উত্তীর্ণ উত্তর পুর্ব দিল্লির বাসিন্দা চাঁন্দ মোহাম্মদ উপার্জনের উপায় না পেয়ে করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ বহন করতে শুরু করে। এই খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন-এর প্রতিনিধিরা ওই ২০ বছর বয়সী ছেলের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং তার বোনদের পড়ার খরচ এবং মায়ের শুশ্রূষার খরচ বহন করার দায়িত্ব নেয়। এছাড়া ওই পরিবারে রেশনেরও দায়িত্ব নেয় সংস্থা।
চাঁন্দ মোহাম্মদের বাবা একজন দিন মজুর এবং তার বড় ভাই সেলসম্যান। লকডাউনের সময় তারা নিঃস্ব হয়ে যায়। চাঁন্দ মোহাম্মদের চার বোন রাফিয়া (১৮) মুসকান (১৬) সাদাফ (১৪) এবং মেহাদ ১১)। ছোট তিনজন স্কুলে পড়ছে। হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন-এর আর্থিক সহযোগিতায় ভাই সাকিবকে (২৭) একটি কাপড়ের দোকান খুলে দেওয়া হয়। ২০১১ সালে দশম শ্রেণীতে পাস করে চাঁন্দ মোহাম্মদ। আর্ধিক সংকটের জন্য বিদ্যালয় ত্যাগ করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের সহযোগি হিসাবে কাজ শুরু চাঁন্দ মোহাম্মদের।
এক সপ্তাহ আগে সে একটি কোম্পানিতে চাকরিতে যোগদান করে। তারা তাকে লোক নায়ক হাসপাতালে সুইপারের কাজে যোগদান করতে নির্দেশ দেয়। তার কাজ হল করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ বহন করা। তার মা থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত। কিন্তু যে পরিবারের খাবার জোগায় প্রতিবেশীরা, সেই পরিবার কিভাবে ওষুধ কিনবে? তাই সে করোনা আক্রান্ত মৃতদের বহন করতে শুরু করে।
চাঁন্দ মোহাম্মদের ভাষায় “ভাইরাস কে জয় করতে পারব, কিন্তু ক্ষুধাকে জয় করতে পারব না।” সে আরও বলে, “ভয়ানক জীবিকা কিন্তু ঝুঁকি নিতে হবে। তিনজন বোন ২ জন ভাই সঙ্গে মা ও বাবা সবার খাবার ও ওষুধের জন্য প্রয়োজন টাকার।”